প্রথম
প্রথম টি-২০তে শ্রীলঙ্কাকে ১৫৬ রানের টার্গেট বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। শেষ দিকে নেমে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তবে মালিঙ্গার এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। ২৬ বলে ৩টি চারে ৩১ রানেই থামেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন সৈকত।
এর আগে বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামল। খেলাও শুরু হলো। কিন্তু শুরুতেই লাসিথ মালিঙ্গা ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন মালিঙ্গা।
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ইয়র্কার লেন্থের বলটি বুঝে উঠতে পারেননি তামিম। সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে বাংলাদেশ ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে।
ভালোই ব্যাটিং করছিলেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্য তার। প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট খ্যাত এই ক্রিকেটার। বিদায়ের আগের ১৪ বলে দুটি চারের সাহায্যে করেছেন ১৬ রান।
সাব্বির রহমানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না সৌম্য সরকারও। ২০ বল খেলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৯ রান করেন। ষষ্ঠ ওভারে ভিকুম সঞ্জয়ার বলে মিড অফে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না মুশফিকুর রহীম। ব্যাট হাতে দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়। মাত্র ৯ রান করতেই লঙ্কান দলের পার্টটাইম বোলার আসেলা গুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিক।
সাকিব আল হাসানের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় সেকুগে প্রসন্নের বলে গুনারত্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।