ডিএমপি নিউজঃ স্বাধীনতা অর্জনে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির স্মরণীয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বুলেটটি রাজারবাগ থেকে বাহির হয়ে পাকিস্তানি সেনার বুকে আঘাত হানে। এজন্য বাংলাদেশ পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আজ ৯ জুন, ২০১৯ রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির আয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজ্জামেল হক এমপি।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বদ্ধু হয়ে কাজ করছে। কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তাদেরকে সশস্ত্র সালামীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হয়। আর এখন মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই রকম বানানোর কার্যক্রম চলছে। যাতে নতুন প্রজন্ম বুঝতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর।
মন্ত্রী আরও বলেন, এবাররের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের সেই ডাকের সাড়া দিয়ে পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ও সভাপতি বিআরপিওডব্লিউএ মোঃ আব্দুর রউফ পিপিএম।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের অহংকার এবং পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের অলংকার। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে রাজারবাগ আক্রান্ত হলে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত পুলিশ বাহিনীর সাহসী ও দেশপ্রেমিক সদস্যরা। দেশের স্বাধীনতার জন্য সামান্য রাইফেল দিয়ে তাঁরা শক্রর আক্রমন মোকাবেলার চেষ্টা করেন, অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হন এবং অনেকেই আহত হন। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে সকল শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার এবং তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কল্যাণ সমিতির ১৫৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আইজিপিগণ, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আইজিপি, ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।