জহিরন বেওয়া এভাবেই বাইসাইকেল চালিয়ে ৪২ বছর ধরে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। এখন তার বয়স ৯০ বছর ছাড়িয়েছে। কিন্তু উদ্যম, সাহসিকতা, কর্ম দক্ষতা একটুও কমেনি। তাই এ বয়সেও সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পযন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসুস্থ দরিদ্রকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন জহিরন বেওয়া।
জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম তালুক দুলালীর মৃত সায়েদ আলীর স্ত্রী জহিরন বেওয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধের চার বছর আগে স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন। তিন ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। আট বছর আগে বড় ছেলে দানেশ আলী ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করায় ভেঙে পড়েন জহিরন বেওয়া।
সমাজের কথা উপেক্ষা করে ১৯৭৩ সালে জহিরন পরিবার পরিকল্পনার অধিনে স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষযে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেন। নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সাইকেল চালিয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতেন। ২শ থেকে ৩শ অবশেষে ৫শ টাকা মাসিক মজুরি পেয়ে ১০ বছর চাকরি করে অবসরে যান জহিরন।
চাকরী বাদ দিলেও অর্জিত অভিজ্ঞতা বাদ দেননি তিনি। তাই বাড়িতে বসে না থেকে আবারো গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় মনোযোগী জহিরন এখনো কাজ করছেন হাসি মুখে।
ভেলাবাড়ী গ্রামের হামিদুল ইসলাম জানালেন, গত ৪৪ বছর ধরে জহিরন বেওয়াকে দেখছি সাইকেল চালিযে গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন।