ডিএমপি নিউজ: দুধের উপকারিতা অন্যান্য খাবারের চেয়ে অনেক গুণ বেশি রয়েছে। গরুর দুধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অন্যসব খাবারের মধে এটি অন্যতম সুস্বাদু খাবার। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় এ খাবারটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। তাই আমাদের প্রতিদিনের তালিকায় দুধ রাখা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে বেড়ে ওঠা ছেলে মেয়েদের জন্য।
আমরা অনেকেই দুধ গরম খেতে ভালোবাসি, আবার কেউ বা ঠান্ডা দুধ পছন্দ করে থাকি। দুধ ঠান্ডা বা গরম যেভাবেই খাই না কেন তাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক ঠন্ডা ও গমর দুধের উপকারিতা গুলো কি কি-
গরম দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- ১. দোকানে যেসব প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া তা পাস্তপরাইজ করার জন্য নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। তাই এই দুধ গরম করেই খেতে হয়।
- গরম দুধের সবথেকে বড় উপকারিতা হল, গরম দুধ খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে এবং ভালো ঘুমের জন্য গরম দুধ খুবই উপকারী ।
- দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন।
ঠান্ডা দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- ঠান্ড দুধের একটি ভালো দিক হলো এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেশি ক্যালরি পোড়ে। তবে শীতকাল এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এই সময় ঠান্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্য ঠান্ডা নয়, গরম দুধ খাওয়া উচিত।
- আর ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি
- ঠান্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
ঠান্ডা হোক কিংবা গরম, দু প্রকারের দুধেই প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। কার জন্য কোন ধরণের দুধ উপকারি সেটা একজন পুষ্টিবিদ বা একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেই খাওয়া উচিত।