ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল। আজ শুক্রবার স্বেচ্ছামৃত্যুতে অবশেষে সায় দিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মতে, প্রত্যেকটি মানুষেরই অধিকার রয়েছে ‘সম্মানের সঙ্গে মৃত্যু গ্রহণের’। এবং সেই কারণেই ‘প্যাসিভ ইউথেনেশিয়া’-তে ভারতের রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
তবে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য বেশ কয়েকটি আইনি ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে জানা গেছে। পাঁচজন বিচারকের ‘কনস্টিটিউশন’ বেঞ্চ থেকে, এদিন স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে অর্ডার দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ‘কমন কজ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জির জন্যই অবশেষে ভারতে এই আইন চালু হল।
পাঁচ বিচারকের চারটি ভিন্ন ভিন্ন মত থাকলেও, একটি জায়গায় তারা প্রত্যেকেই একমত ছিলেন যে, স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আবেদনকারীকে ‘লিভিং উইল’ করতে হবে। কারণ কোনও ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা যদি স্থবির হয়ে যায় এবং তা থেকে সেরে ওঠার কোনও উপায় না থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আবেদন করতেই পারেন।
তবে কোন ব্যক্তি ‘লিভিং উইল’ করতে পারবেন, তা ঠিক করবে নির্দিষ্ট মেডিকেল বোর্ড। কোর্টের সেই মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে যে, আবেদনকারী ব্যক্তির কোনওভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ নেই, তাহলেই সেই আবেদন গ্রাহ্য হবে।