তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাপনের ধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে।মোবাইল ফোন যদিও খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সাধারণ মানুষ এই যন্ত্র ব্যবহার করছে ইন্টারনেটের জন্য। তাই স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম বিরাজমান, তবে তারমধ্যে অ্যান্ড্রয়েডের চাহিদা সারা দুনিয়া ব্যাপী বেশি। সবাই চাই একটি মোবাইল ফোন যেটাতে অ্যান্ড্রয়েড থাকবে এবং নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে। তাই প্রথমবারের মত যখন এই মোবাইল সাধারণ মানুষ কেনে তখন কিছু অবশ্য করনীয় কাজ থাকে যেগুলো সেটির ব্যবহারকে আরও সহজ করে তোলে।
পোষ্টে যা যা থাকছে:
- গুগল অ্যাকাউন্ট যোগ করাঃ
- হোমস্ক্রিন গুছিয়ে নেওয়াঃ
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলাঃ
- জিমেইল সেটিং
- ফটো ব্যাকআপঃ
- গুগল প্লে স্টোর সেটিংসঃ
- ডিভাইস ম্যানেজারঃ
- কিছু অ্যাপ নামিয়ে নিনঃ
- হোমস্ক্রিনে উইজেট সেট করুনঃ
- নোটিফিকেশনঃ
১. গুগল অ্যাকাউন্ট যোগ করাঃ
আপনার ফোনটি চালু করার পর প্রথমেই আপনাকে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট যোগ করতে বলা হবে। আপনি অবশ্যই এই কাজটি করবেন। কেননা গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি পরবর্তীতে গুগলের সব ধরনের সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
২. হোমস্ক্রিন গুছিয়ে নেওয়াঃ
এরপর আপনি আপনার ফোনের হোমস্ক্রিন থেকে অপ্রয়োজনীয় সকল উইজেট সরিয়ে ফেলুন। কেননা এতে আপনার ফোন অনেক দ্রুত কাজ করতে পারবে এবং আপনিও প্রয়োজনীয় অন্যান্য শর্টকাট সেট করতে পারবেন।
৩. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলাঃ
একটা নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নানা ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে। এর মধ্যে দেখা যায় যে, বেশির ভাগই আমাদের কোন কাজে আসেনা। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ খুঁজে বের করে সেগুলো আনইন্সটল করে দিন। এতে আপনার ফোনের রেম খালি থাকবে। আর আপনি পাবেন দারুন পারফরমেন্স।
৪. জিমেইল সেটিং
এবার আপনি আপনার জিমেইল অ্যাপ ওপেন করে দরকার মতো সেটিং করে নিন। এর ফলে মেইল নিয়ে আপনাকে কোন দুশ্চিন্তা করতে হবেনা।
৫. ফটো ব্যাকআপঃ
আপনার ফোনে যদি (গুগল প্লাস+ফটো) নামের ফটো ব্যাকআপ সফটওয়্যার দেওয়া থাকে, তাহলে ব্যাকআপ অপশন থেকে আনলিমিটেড করে দিন। কেননা এতে করে আপনার সকল ছবি এবং ভিডিও থাকবে সুরক্ষিত।
৬. গুগল প্লে স্টোর সেটিংসঃ
এবার আপনার গুগল প্লে ওপেন করে সেটিংস এ যান। সেখানে থাকা “Add icon to Home screen.” থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। এতে করে নতুন কোন অ্যাপ ইনস্টল করলে হোমস্ক্রিনে শর্টকাট তৈরি হবেনা।
৭. ডিভাইস ম্যানেজারঃ
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অ্যাপ। আপনার ফোন হারালে এর সাহায্যে খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন। ডিভাইস ম্যানেজার সেট আপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৮. কিছু অ্যাপ নামিয়ে নিনঃ
এবার আপনার প্রয়োজনমত কিছু অ্যাপস গুগল প্লে থেকে নামিয়ে নিন। এর ফলে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে পাবেন নতুন এক অভিজ্ঞতা।
৯. হোমস্ক্রিনে উইজেট সেট করুনঃ
দরকার মত কিছু উইজেট আপনার হোমস্ক্রিনে সেট করে নিন। এর মাধ্যমে আপনি কিছু কাজ সফটওয়্যার ওপেন না করেই করতে পারবেন। যেমন- মেইল চেক করা, ফেসবুকে টাইমলাইন দেখা প্রভৃতি।
১০. নোটিফিকেশনঃ আপনি হয়তো আপনার ফোন বেশ কিছু সফটওয়্যার ইনস্টল করেছেন। এর মধ্যে কিছু থাকবে যা কিছুক্ষণ পরপর আপনার নোটিফিকেশন বারে নানা ধরনের নোটিফিকেশন দেখাতে থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে “অ্যাপলিকেশন” বা “অ্যাপস” এ। তারপর সেখান থেকে আপনার দরকারমত অ্যাপসের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে পারবেন।