দক্ষিন আফ্রিকার সাথে চলমান টেস্ট সিরিজে বল বিকৃতি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অজি অধিনায়ক স্মিথ ও ওর্য়ানার। তাদেরকে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। অজি অধিনায়ক সিডিনি বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ভক্ত অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ ঘটনাটিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ মিডিয়া ‘ক্যাপ্টেন ক্রাই বেবি’ বলে স্মিথকে ট্রোল করে৷
সম্প্রতি অজিদের আফ্রিকান সাফারির তৃতীয় টেস্টে ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল বিকৃত করার ছবি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর সমালোচনার সুনামি ওঠে ক্রিকেটবিশ্বে ৷ ক্রমে প্রকাশিত হয় ছক কষে বল বিকৃতি ঘটিয়েছিল অজিরা৷
‘স্যান্ডপেপার গেট’ কাণ্ডে নাম জড়ায় অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারেও ৷ বৃহস্পতিবার স্মিথ ও ওয়ার্নারকে একবছরের জন্য নির্বাসন দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া৷ ৯ মাসের জন্য বাইশ গজ থেকে নির্বাসিত হয়েছেন ব্যানক্রফট৷
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেল’-এর স্পোটর্স পেজে স্মিথের কান্নায় ভেঙে পড়ার খবরটির শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘ক্যাপ্টেন ক্রাইং বেবি’ শব্দগুচ্ছ৷ আরেক ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেলি স্টার খবরটির শিরোনামে লিখেছে, ‘অজি চিটারদের কান্না ও লজ্জা’৷
স্মিথদের নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করলেও ক্রিকেট জগতে ব্রিট্রিশদের জগৎজোড়া নাম রয়েছে স্লেজিং ও বল-টেম্পারিংয়ের জন্য৷ ১৯৯৪ সালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন মাইকেল আথারটন বল বিকৃত করেন৷ ঘটনাটি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে৷ এটিই টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া প্রথম বল বিকৃতি ঘটনা৷ এরপরও ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে বল বিকৃতির অভিযোগ ওঠে ইংরেজ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু সেসব ভুলে স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়ে স্মিথদের ট্রোল করতে শুরু করেছে ব্রিটিশ মিডিয়া৷