ডিএমপি নিউজঃ সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। তারপরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মানতে হবে।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখ সকাল ১০ টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমনটি জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
যানজটমুক্ত ঢাকা গড়তে সকলের সহযোগিতা চেয়ে কমিশনার বলেন, ‘সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। এ জন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সড়কের বিশৃঙ্খলতা দূর করতে আন্দোলন করেছিল আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের দেখানো পথ অনুসরণে আমরা প্রথমে ১০ দিন ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানোসহ রেকারিং করা হয়েছে। মামলা ও জরিমানা করা শেষ কথা নয়। আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা শহরে ১৩০টি বাস স্টপেজে ‘বাস স্টপেজ শুরু’ ও ‘বাস স্টপেজ শেষ’ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। শত বছরের অভ্যাস বা অনিয়ম ১ মাসে পরিবর্তন হবে এটা আশা করা যায় না। তবে আমরা আশাবাদী সকলে সচেতন হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এই একমাস ব্যাপী কর্মসূচিতে আমাদের অনেক সাফল্য এসেছে। ট্রাফিক আইন নিয়ে আমাদের কঠোর অবস্থানের ফলে বর্তমানে হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেল চালক ও আরোহী কমে গেছে। আগের থেকে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।’
কমিশনার আরো বলেন, ‘আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের বড় সমস্যা। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অনুরোধ করব, আপনারা আইন মানুন অন্যকে আইন মানতে উৎসাহিত করুন। সবাইকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে, ট্রাফিক আইন মানতে হবে। সকলের মাঝে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কারও পক্ষে ফেরানো সম্ভব না।’
নগরবাসীকে আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ট্রাফিক আইন মানি অপরকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করি। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।’
এছাড়াও ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোন ধরণের অনিয়ম ডিএমপি করবে না কাউকে করতেও দিবে না। অন্যায়কারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে, অনিয়ম দূরকরণ ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার তা করব।’
এর পরপরই গণপরিবহনের যাত্রীদের মাঝে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। সেই সাথে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের উৎসাহ দিতে শুভেচ্ছা উপহার দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিপিএমসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।