সরকারি-বেসরকারি দুই ধরনের হজযাত্রায় এবার খরচ বাড়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, যা বেড়েছে তা সৌদি সরকারের চার্জ বাড়ার কারণে।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-২০১৯’ এবং ‘হজ প্যাকেজ-২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ এবার চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং এবং প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর প্যাকেজ-১ এ তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা নির্ধারিত ছিল।
মন্ত্রী বলেন, এখানে আপনারা দেখছেন গত বছরের তুলনায় প্যাকেজ-১ এ এবার ২০ হাজার ৫৭১ টাকা বেড়েছে।
কিন্তু সৌদি সরকার সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য খরচ বাড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৮০ টাকা।
সৌদি সরকারের বাড়ানো টাকা কারো কমানোর ক্ষমতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ-২ এ সৌদি সরকার চার্জ বাড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩৫ টাকা। কিন্তু গতবছরের তুলনায় বেড়েছে ১২ হাজার টাকার মত।
কোথায় বেড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, এবছর প্যাকেজ ১ এর জন্য প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১০ টাকা আর প্যাকেজ ২ এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
হাজীরা যাতে হজে গিয়ে কষ্ট না পান সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, এদুটির তুলনায় আপনাদের বুঝতে বাকি নেই যে আমরা (বাংলাদেশ সরকার) হজের খরচ বাড়িয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমি অনেকবার হজ করেছি। তাই হাজীদের কষ্ট আমি দেখেছি।
এবছর হাজীদের কষ্ট হবে না আশা মন্ত্রীর।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ অগাস্ট হজ হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এ বছর যারা হজে যেতে চান তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে।
এবার রমজান মাসের আগেই সৌদিতে বাড়ি ভাড়া করতে হবে। সৌদির বাড়ি ভাড়া এবং সার্ভিস ও ক্যাটারিং চার্জ অনলাইনে জমা দিতে হবে।
হজযাত্রীরা সৌদি আরবে যে বাড়িতে থাকবেন এবার থেকে ওই বাড়ির ঠিকানা পাসপোর্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বলেও সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।