জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৯ আগস্ট) রাত ১টায় নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রতি ইঙ্গিত করে এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদকে সম্মিলিতভাবে এই সমস্যা সমাধান করতে বলেন।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই সমস্যা অনাদিকাল চলতে পারে না।’
বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রাখাইনে যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমার সহায়ক পরিবেশ তৈরি না করছে, সেখানে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে না।’ তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে মিয়ানমার কাজ করতে দিচ্ছে না।’
গত মাসে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘সেখানে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আমি যে ভয়াবহ ঘটনার কথা শুনেছি, সেটি আমি জীবনে ভুলতে পারবো না।’
গত সোমবার মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গণধর্ষণের দায়ে দেশটির সেনাপ্রধানসহ ছয় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। খবর পার্স টুডে।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময়ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করে বলেছিল, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, রাখাইনে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করছে এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।