ডিএমপি নিউজ: আজ হলি আর্টিজান বেকারীতে জঙ্গি হামলার দুই বছর । ২০১৬ সালের ১লা জুলাই আজকের এই দিনে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে জঙ্গিরা ভয়াবহ হামলা চালায় । এই জঙ্গি হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে আত্মত্যাগ করেন বাংলাদেশ পুলিশের দুই নির্ভীক কর্মকর্তা। সেই দিনের অকুতোভয় এই দুই কর্মকর্তার কর্মস্পৃহা ও সাহসিকতায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার বুকে জঙ্গি গোষ্ঠীকে শেকড় গজাতে দেয়নি বাংলাদেশ পুলিশ। একের পর এক জঙ্গি অভিযানে সফলতা পেয়েছে পুলিশ। সেইসাথে তাঁদেরকেও ভুলে যায়নি দেশ। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে তাঁদের অকাল ত্যাগ। বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য আজকের এই দিনে তাঁদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছে। তাঁরা চিরদিন বেঁচে থাকবে এদেশের মানুষের অন্তরে। যুগে যুগে তাদের এই আত্মত্যাগ প্রেরণা যোগাবে জাতির বীর সাহসীদের।
জাতির যে বীরদের নিয়ে বলছি তাঁদের একজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রবিউল করিম । তিনি ১৯৮১ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত আব্দুল মালেক, মাতা করিমন নেসা (৫৫)। ২০১২ সালে ৩০তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন রবিউল। সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (উত্তর) বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গুলশান জঙ্গী হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুলাই রাত ১২:২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন ।
অন্যজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালাহ উদ্দিন খান। তিনি ১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবাঃ মৃত আঃ মান্নান খান, মাতা মৃত লুতফান্নেসা। ১৯৯১ সালে সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গুলশান জঙ্গী হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় গলায় স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত ও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুলাই রাত ১১:২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র রেখে গেছেন ।
তাঁদের স্মরণে পুরাতন গুলশান থানার সামনে ‘দীপ্ত শপথ’ নামে একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। উদ্বোধনকালে কমিশনার বলেন, ‘২০১৬ সালের এই দিনে হলি আর্টিসান বেকারিতে চালানো সন্ত্রাসী হামলা জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করেছিল এসি রবিউল ও ওসি সালাহউদ্দিন। তাদের মারা যাওয়ার শোককে আমরা শক্তিতে রুপান্তর করেছি। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে জীবনবাজি রেখে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছি।’