ডিএমপি নিউজ: আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করে অসহনীয় শব্দ দূষণরোধে হাইড্রলিক হর্ণের ব্যবহার বন্ধ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আজ ১৬ আগস্ট’১৭ সকাল ১১ টায় ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম হাইড্রলিক হর্ণ বন্ধে ডিএমপি’র গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন।
হাইড্রলিক হর্ণ বন্ধে যে সকল বিষয়ের উপর কমিশনার জোড় দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
১। মোটরযান আইনের ১৩৯ ধারায় শাস্তির পরিমান বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২। মালিক ও ড্রাইভারদের প্রশিক্ষনের সময় হর্ণ/হাইড্রলিক হর্ণের যত্রতত্র ব্যবহারের কুফল, হর্ণ না বাজিয়ে গাড়ী চালানের কৌশল ইত্যাদি বিষয় ব্যাপক ধারণা দেয়া।
৩। হাইড্রলিক হর্ণের উৎপাদন, আমদানী ও বিক্রয় বন্ধ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪। হাইড্রলিক হর্ণ বিক্রয়কারী বিভিন্ন মোটর পার্টসের দোকান এবং সংযোগকারী বিভিন্ন ওয়ার্কশপে মোবাইল কোর্ট করে বিক্রয় ও সংযোজন বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
৫। মোটর পার্টস এর দোকান ও ওয়ার্কশপের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে আইনের আওতায় আনা।
৬। বিভিন্ন সড়কে, রাস্তার মোড়ে, পেট্রোল পাম্পে, টোল প্লাজায় হাইড্রলিক হর্ণ বাজানো নিষেধ সম্বলিত সচেতনতামূলক ডিসপ্লে বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে এবং আরও টাঙ্গানো হবে।
৭। হাইড্রলিক হর্ণ বন্ধে সকলকে সচেতন করা এবং দিনে-রাতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোষ্ট করে ব্যবস্থা নেয়া।
৮। রাতের বেলায় যানবাহন কর্তৃক কম আবাসিক এলাকা সম্বলিত রাস্তার বহুল ব্যবহার এবং বেশী আবাসিক এলাকা সম্বলিত রাস্তার কম ব্যবহারের বিষয়ে সাইন বোর্ড দিয়ে, মিডিয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচার চালানো।
৯। হাইড্রলিক হর্ণ ব্যবহারের কুফল, ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করা।
১০। রাস্তায় যানজটে পতিত হলে বা অন্য কোন সমস্যা থাকলে ঘন ঘন হর্ণ না বাজিয়ে সহনশীলতার মাধ্যমে গাড়ী চালাতে হবে।
১১। মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে প্রয়োজনীয় মিটিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
১২। প্রতিটি গাড়ীর ফিটনেস নবায়নের সময় হাইড্রলিক হর্ণ না থাকার বিষয়টি বিআরটিএ কর্তৃক নিশ্চিত করা।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকলকে হাইড্রলিক হর্ণ বাজানো পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।