প্রশান্ত মহাসাগর। মেরিন বায়োলজিস্ট ন্যান হসার (৬৩) পানির গভীরে নেমেছেন। এমন সময় অযাচিতভাবে এই নারী একটি ১৫ ফুট দীর্ঘ হাঙরের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। টাইগার শার্কটি যখন তাঁর দিকে ধেয়ে আসছে ঠিক তখনই কোথা থেকে যেন হাজির হয় একটি ৫০ হাজার পাউন্ড ওজনের বিশালাকার তিমি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ওই নারীর উদ্ধার হওয়া নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মিরর।
ন্যান হসার ডেইলি মিররকে বলেন, মৃত্যু আমার খুব কাছে ছিল, তবুও এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম, সুযোগ পেলেই ওই হাঙরটি আমাকে হত্যা করবে, তবুও আমি ওই হাম্পব্যাক তিমিটির আমাকে বাঁচানোর প্রয়াস খুব একাগ্রচিত্তে লক্ষ করছিলাম। আমি বিচলিত হইনি, শান্ত ছিলাম। আমি লক্ষ করছিলাম কিভাবে ওই তিমিটি আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিল এবং শেষ পর্যন্ত সে সফলও হয়।
তিনি আরো বলেন, পানির নিচের প্রাণীদের সাথে আমার প্রাণের আত্মীয়তা। তাদের আমি ভালোবাসি, তাদের নিয়ে কাজ করি। যে ঘটনাটি ওই তিমিটি ঘটিয়েছে, সেই ধরনের আচরণ সাধারণত ডলফিনের মধ্যে দেখা যায়। তাই যখন সে আমাকে তার মাথা ও নাক দিয়ে গুঁতো দিচ্ছিল তখন আমি একটু বিচলিত হই আর হাঙরটির জন্য একটু ভয়ও করছিল। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত তিমি আর হাঙরের ১০ মিনিটের দ্বৈরথে বেঁচে যাই আমি। সত্যিই এটা একটা দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ছিল।
ন্যান হসার আরো যোগ করেন, হাঙরটি ওই তিমিটির জন্যও বিপজ্জনক ছিল। তবুও সে নিজের জীবনকে বিপদে ফেলেও পরার্থপরতার নজির গড়ল। এটা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।