হঠাৎই চকিতে পিছন ফিরে শুঁড়ের ঝাপট দেয় হাতিটা। তার ঝটকায় ভিড়ের মধ্যে থেকে দেওয়ালে গিয়ে ছিটকে পড়েন এক প্রৌঢ়। মোক্ষম চোট লাগে মাথার পিছনে। তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

পুলিশ জানায়, মৃত কালু শেখ (৫৭) কান্দির আন্দুলিয়ার বাসিন্দা। কিন্তু ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেলে কান্দিরই বালিয়াহাটে। অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে রবিবার বিকেলে মাহুত গুলা দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। লক্ষ্মী নামে ওই হাতিকে এখন দেখভাল করছেন অন্য দুই মাহুত রাকেশ দুবে ও পিন্টু শঙ্কর।। পাহারায় এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার।

উত্তরপ্রদেশ থেকে হাতি নিয়ে এসে গত এক সপ্তাহ ধরে বড়ঞা ও খড়গ্রামে ঘোরাফেরা করছিলেন তিন মাহুত। কচিকাঁচারা দিব্যি তার পিঠে চড়ছিল। কিন্তু গোল বাধায় বড়রাই।  তাবিজে হাতির লেজের লোম পুরে হাতে বাঁধলেই রাজার মতো ধনী আর হাতির মতো তাকতদার হওয়া যাবে, এমন খোয়াব দেখে অনেকেই চেষ্টা করছিলেন লেজের লোম ছেঁড়ার। বিরক্ত হয়ে প্রায় মাছি তাড়ানোর মতো ‌কালুকে উড়িয়ে দেয় হাতিটা।

আন্দুলিয়ার কালু বালিয়াহাটে এসেছিলেন মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে। গাঁয়ে হাতি আসার খবর পেয়ে তিনিও বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাতির লেজ ছিঁড়তে গিয়েছিলেন বলে মানতে চাননি কালুর ভাই সহরদ্দি শেখ। তাঁর দাবি, ‘‘দাদা ও সব কিছু করতে যায়নি। ভাইঝির বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাতিটা বেমক্কা দাদাকে শুঁড়ের ঝাপট দেয়।’’ পরে কালুর মেয়ে কাবিরুন বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মাহুত গুলা দাসকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, বছর তিরিশের ওই কুনকি হাতির মালিক উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের কেদারনাথ দুবে। তাঁকে খবর পাঠানো হয়েছে। প্রধান মাহুত রাকেশ দুবের দাবি, ‘‘ কিছু বুঝে ওঠার আগে লক্ষ্মী এমন কাণ্ড করে ফেলল। খারাপ লাগছে।”