ডিএমপি নিউজ রিপোর্ট: হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা কাজে ব্যবহ্নত রিং সহ অর্ধশত যন্ত্রের মুল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত আজ মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালী ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে হার্টে রিং বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি বসানোর ব্যাপারে তাদের উদ্যোগের কথা জানানো হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হৃদরোগীদের জিম্মি করে একটি মহল দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হার্টের রিংসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানী করে নিজেরা নিজেদের খুশিমত বেশী দামে বিক্রি করছে। একই রিং এক হাসপাতালে এক রকম মূল্য। প্রাইভেট চেম্বারে আরেক রকম মুল্যে বিক্রি করা হয়।
আবার অনেক সময় চীনের তৈরী নিম্নমানের রিং কোরিয়ান বা জাপানী, থাইল্যান্ড,ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বলে বেশী দামে বিক্রি করছে। অনেক সময় বেশী দামের রিং দেখিয়ে কম দামের টা অপারেশনের সময় ব্যবহার করে। এই ভাবে হার্টের অপারেশনে ব্যবহ্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে মূমূর্ষ রোগী জিম্মি করে একটি চক্র বেশী মূল্যে বিক্রি করছে। এই নিয়ে অসহায় রোগীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এমন বহু অভিযোগের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ হার্টের রিংসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণে উদ্যোগ নিয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তায়ন করা হবে।
এই সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া, এনালজেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ দেবব্রত বণিক বলেন, হৃদরোগীদের হার্টে বসানো রিংয়ের মূল্য কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকায় রিং বিক্রি হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে রিং আট থেকে দশ হাজার ডলার। অভিযোগ রয়েছে,দামিটা দেখিয়ে অপারেশনের সময় কম দামের টা ব্যবহার করে। এতে রোগীর ভোগান্তি বেশী। টাকাও খরচ হয়। নিয়ন্ত্রণে আসলে মূমূর্ষ রোগীরা উপকৃত হবে। প্রতারণা কমবে।