থাইল্যান্ডে এক গুহায় ১৭ দিন আটক থাকার পর উদ্ধার পাওয়া ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথাবার্তা বলার পর তারা যে যার বাড়িতে ফিরে যাবে বলে থাই কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।উদ্ধার হওয়ার পর থেকে উত্তর থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই-এর এক ক্লিনিকে এই কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল।
খবর পাওয়া যাচ্ছে যে এই কিশোরদের কিছু সময় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে কাজ করতে হবে। থাই রীতি অনুযায়ী, কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর মানুষ স্বল্প সময়ের জন্য ভিক্ষুর ভূমিকা পালন করেন।
কিশোর ফুটবলাররা কেন গুহার গভীরে গিয়েছিলো?
এই প্রশ্নে অনেক বক্তব্য এসেছে। কিন্তু যারা গুহায় আটকা পড়েছিল, সেই কিশোর ফুটবলার এবং তাদের সাথে থাকা সহকারি কোচের কাছ থেকে সরাসরি এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তাদের প্রধান কোচ নোপারাত কানতাওং বলেছেন, শনিবার তাদের একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল। সেটি বাতিল করে তিনি সেদিন প্রশিক্ষণের জন্য সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
তিনি তাদের গুহায় যাওয়ার জন্য কোনো পরামর্শ দেননি। ফলে তাদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল না। তবে শনিবার কিশোর ফুটবলারদের একজনের জন্মদিন ছিল।জন্মদিন পালনের জন্য সেদিন স্থানীয় একটি দোকান থেকে এই কিশোররা সাত’শ থাই বাথ দিয়ে খাবার কিনেছিল বলে ঐ দোকানদার জানিয়েছেন।
প্রধান কোচ নোপারাত কানতাওং বলেছেন, সহকারি কোচ একাপল এই কিশোর ফুটবলারদের খুব ভালবাসে এবং তাদের জন্য সে সবকিছু করতে পারে।
তিনি ধারণা করছেন, কিশোর ফুটবলাররা সহকারি কোচের কাছে আবদার করে তাকে নিয়ে গুহায় গিয়েছিল। এই এলাকায় গুহাটি সকলের কাছে পরিচিত এবং এই কিশোররাও আগে ঔ গুহায় গিয়েছিল। তারা যে গুহার গভীরে চলে যায়, সে ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে, তারা যখন গুহায় গেছে, তখন শুকনো ছিল। কিন্তু হঠাৎ অতিবর্ষণে গুহায় পানি বাড়তে থাকায় তারা গভীরে যেতে বাধ্য হয়েছে।