আইপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে ম্যাচ হারতে হয় দীনেশ কার্তিকের দলকে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ১২ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে হারাল শাহরুখ খানের দল।
আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। ২০ ওভারে হায়দরাবাদ করেছিল ১৪২ রান।
ইনিংসের শুরুতেই শূন্যে রানে ফিরেন নারিন। কলকাতার রান তখন মাত্র ৬। নটরাজনের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ২৬ রানে আউট হন রানা। অন্যদিকে রশিদ খান বল করতে এসেই তুলে নেন দীনেশ কার্তিককে। ঠিক এই সময়ে শুভমন গিল পরিণতিবোধের পরিচয় দেন। ইয়ইন মর্গ্যানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন।
বিপজ্জনক শট খেলার রাস্তায় হাঁটেননি গিল। জানতেন হায়দরাবাদের রান কম, ফোকাস ঠিক রাখতে পারলে ম্যাচ বের করে নেওয়া সম্ভব। সেটাই করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল। মর্গ্যানও ৪২ রানে অপরাজিত থেকে যান। দুই নাইট ব্যাটসম্যান ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাতেই হায়দরাবাদের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়।
অন্য দিকে বল হাতে দুরন্ত প্যাট কামিন্স। অজি পেসার এ দিন ধরা দেন নিজের পরিচিত ছন্দে। তাঁর দাপটে ভয়ঙ্কর হতে পারেননি হায়দরাবাদের বিপজ্জনক দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। কামিন্স বারবার ঝামেলায় ফেলেন তাঁদের। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো শুরু থেকে রুদ্র মূর্তি ধরতে না পারায় হায়দরাবাদও রানের গতি বাড়াতে পারেনি। বেয়ারস্টোকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি।
কলকাতার মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী প্রথম একাদশে জায়গা পেয়ে নজর কাড়েন। বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে ৩০ বলে ৩৬ রানে আউট করেন বরুণ।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে মণীশ পাণ্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহা ইনিংস গোছানোর কাজ করেন। রাসেলের ফুলটসে আউট হন মণীশ পাণ্ডে। তার আগে ৩৮ বলে ৫১ রান করে যান তিনি। ঋদ্ধির সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মণীশ। শেষের দিকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ঋদ্ধিমানও (৩০)। সাত জন বোলারকে এ দিন ব্যবহার করেন কার্তিক। নাইট বোলারদের দাপটে দেড়শোর থেকে আট রান দূরে থেমে যায় হায়দরাবাদ।