সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিজড়া সম্প্রদায়। দেশে বর্তমানে হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোন জরিপ নেই। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হিজড়ার সংখ্যা ১১ হাজার ৩৯ জন। হিজড়া সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার তাদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদের ২১তম (বাজেট) অধিবেশনের ১০ম কার্যদিবসে সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপনের পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মেনন বলেন, হিজড়া সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের জন্য তাদের যেসব ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, এগুলো হলো- হেয়ারকাটিং, বিউটিফিকেশন, প্রাইভিং, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, অটোমোবাইল, সিকিউরিটি গার্ড, আনসার, ভিডিপি, নাসিং, ওয়ার্ড বয়, কৃষি, মৎস ও পশুপালন, কম্পিউটার, সেলাই, কাটিং, ব্লক, বাটিক ও হস্তশিল্প। এসব ট্রেডে ৫০ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, প্রশিক্ষণ শেষে হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৫শ’ প্রবীণ হিজড়াকে (৫০ উর্ধ্ব) মাসিক ৬শ’ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ১ হাজার ৩৫০ জন হিজড়া শিশুকে ৪ স্তরে (প্রাথমিক স্তর-৩শ’ টাকা, মাধ্যমিক স্তর-৪৫০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর-৬শ’ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১ হাজার টাকা) হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।