হিট স্ট্রোক কিঃ হিট স্ট্রোক হচ্ছে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধ্বি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া এক প্রকার জটিলতা। স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা ৯৮ ফারেনহাইট। যদি এটি ১০৪ ফারেনহাইট ক্রস করে তখনি হিট স্ট্রোক হতে পারে। হিট স্ট্রোক এক প্রকার মেডিকেল ইমার্জেন্সি যেখানে সাথে সাথে রোগিকে চিকিৎসা না দেয়া হলে রোগি মৃত্যুবরন করতে পারে। রোগিকে গরম থেকে সরিয়ে এনে তার দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে আনা হিট স্ট্রোকের চিকিৎসার একটি দরকারি ধাপ।
হিট স্ট্রোকের কারন: Dehydration হিট স্ট্রোকের প্রধান কারন। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রচন্ড গরমে দেহে পানি কমে গিয়ে যেন dehydration না হয় তা নিশ্চিত করা ও বেশি গরমে ভারি শারীরিক পরিশ্রমে না জড়ানোই উচিত। গরম যত বাড়বে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও তত বাড়বে। এ কারণে গরমে ঘরের বাইরে বের হওয়ার আগে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো জেনে রাখা উচিত। হিট স্ট্রোকের এসব উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন-
১. গরমে ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি অন্যতম লক্ষণ।
২. হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক আর লালচে হয়ে ওঠে।
৩. হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়া।
৪. এ সময় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
৫. হিট স্ট্রোকের সময় নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়ে যায়।
৬. হিট স্ট্রোকের আগে মাথা ঝিমঝিম করে। সেই সঙ্গে শরীরে খিঁচুনিও দেখা দিতে পারে।
৭. হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
৮. হিট স্ট্রোকের সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
গরমের এই সময়ে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।যেমন-
১. হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক পড়লে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে। এ সময় খুব আঁটোসাটো পোশাক না পরাই ভাল।
২. হিট স্ট্রোক হলে আক্রান্তকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে সরিয়ে আনতে হবে। সম্ভব হলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তকে এয়ারকন্ডিশন ঘরে নিতে হবে।
৩. যে কোনও উপায়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে বারবার মুছিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ঘরের ফ্যান চালিয়ে রাখতে হবে।
৪. প্রাথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. গরমের সময় দেহকে dehydrated হতে না দেয়া। শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, ওরাল স্যালাইন পান করা। বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারি কায়িক পরিশ্রম না করা। ঘামের সাথে দেহের লবন বেড়িয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন খাওয়া।