চিকিত্সকরা যখন এমআরআই বা সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দেন তখন অনেকের কপালে চিন্তার রেখা দেখা দেয়। কারণ এই পরীক্ষা করা ব্যয়বহুল তো বটেই, একই সাথে রোগীকে পরীক্ষার সময় অনেক ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। আর এই পরীক্ষা করা হয়ে থাকে অনেকটা গা ছমছম করা পরিবেশে ভারী ভারী ও দামি যন্ত্রপাতির সাহায্যে। অনেকের এসব যন্ত্রপাতি দেখেই হার্টবিট বেড়ে যায়। এছাড়া পরীক্ষার সময় একদম অনড় হয়ে থাকতে হয়। সামান্য নড়াচড়া করলে শতভাগ সঠিক ফল আসে না।
কিন্তু এমআরআই কিংবা সিটিস্ক্যানের এই গতানুগতিক পরীক্ষাকে অতীতে ঠেলে দিতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী। প্রথম পর্যায়ে তারা মস্তিষ্কের ইমেজিং নিয়ে কাজ করেছেন। মাথায় একটা হেলমেট পরেই মস্তিষ্কের ইমেজিং নিখুঁতভাবে করা যাবে। আর এই প্রক্রিয়া চলার সময় রোগীকে রোবটের মতো নিশ্চল শুয়ে কিংবা বসে থাকতে হবে না। তিনি ইচ্ছা করলে হাটাচলা করতে পারবেন, খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন এমনকি টেবিল টেনিসও খেলতে পারবেন। তাদের এই আবিষ্কারের বিস্তারিত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। শিশুদের এমআরআই কিংবা সিটিস্ক্যান করার প্রয়োজন হলে তারা অনেক সময় প্রচলিত মেশিনের ভেতর একা একা যেতে ভয় পায়। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবনের ফলে তাদের রোগনির্নয় অনেক সহজ হয়ে যাবে। তারা এই হেলমেট স্ক্যানারে কোয়ান্টাম সেন্সর ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। এটি হাল্কা এবং কক্ষ তাপমাত্রাতেও ব্যবহার করা যায়। অথচ প্রচলিত যন্ত্রগুলো অনেক শীতল কক্ষে রাখার প্রয়োজন হয়। চিকিত্সকরা বলছেন, সমস্ত শরীরের ইমেজিং করা সম্ভব হলে অবশ্যই এটা চিকিত্সাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হবে।