স্বাধীনতা দিবসের আগেই দেশবাসীকে বিদেশের মাটিতে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ উপহার দিলেন বিরাট অ্যান্ড কোং ৷ সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেটের পুঁজি নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে চা পান বিরতির আগে ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরা ৷ ভারতের জয় ইনিংস ও ১৭১ রানে৷ ১৯৩২-এ টেস্ট অভিষেকের পর এই প্রথম বিদেশে ৩-০ টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলল বিরাটের ভারত৷
তৃতীয় দিনের শুরুতেই শামি-উমেশের পেস আক্রমণের সামনে সঙ্গাকরার উত্তরসূরীরা মুখ থুবড়ে পড়ে৷ করুনারত্নকে শুরুতেই মাত্র ১৬ রানে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন৷ এরপর পুষ্পকুমার ও কুশল মেন্ডিসকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ভারতের জয়ের রাস্তা পাক্কা করে দেন শামি৷ ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলেন বঙ্গ পেসার৷
লাঞ্চের আগেই ৮৪ রানে চার উইকেট খুইয়ে চাপের পাহাড়ে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা৷ অধিনায়ক চন্ডিমল ও ম্যাথিউজ অর্ধশতরান পার্টনারশিপ গড়ে প্রত্যাঘাত করলেও দ্বিতীয় সেশনে অশ্বিন-কুলদীপ স্পিন জুটির সামনে দু’জনেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন৷ এরপর বিদেশের মাটিতে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷শেষ পর্যন্ত ১৮১ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা৷দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার কোন ব্যাটসম্যানই পঞ্চাশের গন্ডি পেরাতে পারেনি৷ জয়বর্ধনে-সঙ্গাকারার পরবর্তী সময়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই সেই ঝাঁঝ যেন ফিকে হয়ে গেছে৷
শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম দুই টেস্টে বাইরে থাকলেও শেষ টেস্টে সুযোগ পেয়ে জাত চেনালেন কুলদীপ যাদব৷ কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে পেলেন পাঁচ উইকেট৷ ধরমশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে বাঁ-হাতি চায়নাম্যান পেয়েছিলেন চার উইকেট৷
ক্যান্ডি টেস্টে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকান নবাগত হার্দিক পান্ডিয়া৷ তাঁরই ফল হিসেবে ম্যাচ সেরার মুকুট উঠল বড়োদার অলরাউন্ডারের মাথায়৷ সিরিজে দুটি শতরান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেলেন শিখর ধাওয়ান ৷