চার চাকার গাড়ি কেনার সামর্থ্য যাদের নেই মোটরসাইকেল তাদের জন্য শুধু একটি দ্বিচক্রযানই নয়, একটি প্রয়োজনীয়তা, বাস্তবতা ও স্বপ্ন। মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেলে স্বপ্নটা শুধু ভেঙে যায় না, প্রয়োজনীয়তা এবং বাস্তবতা হয়ে পড়ে নির্মম কঠিন। প্রতিটি চুরির ক্ষেত্রেই ভিকটিমরা হয় উদাসীন আর চোরেরা হয় অতি চালাক। এমনি একটি চোর চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মশিউর রহমান ওরফে মিশু, রনি দালাল ও নাজিম শেখ। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গত বেশ কিছু দিন যাবত রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
এ সংক্রান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ডিএমপি নিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছু মোটরসাইকেল চুরি হয়। এইসব চুরির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ ও বংশাল থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাগুলোর তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই চুরির ঘটনায় যারা সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে মিশু, রনি ও নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে মুন্সিগঞ্জের মোল্লার চর, সিপাহী পাড়া, বেতকা, মুক্তারপুরসহ বিভিন্ন স্থান হতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০টি উন্নত মানের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মোটরসাইকেল চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, ১টি মোটরসাইকেল চুরি করার জন্য প্রথমে তাদের ২ জন সদস্য স্পটে থাকে। এদের একজনের কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করা, অপরজনের কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করা। এরপর মাত্র ৪-৫ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তাদের সাথে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলের লক ভেঙ্গে চালু করে এবং সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থান ত্যাগ করে।
গতকাল (৩ এপ্রিল, ২০২২) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার) ও গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (সেবা) চুরি হয়ে যাওয়া ১০ টি মোটরসাইকেলের চাবি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন।