ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত এক মাস ধরেই সূচক বাড়ছে। পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে। সূচক যত বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়ছে। তাই সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বাড়ছে। এরমধ্যে গত দশ কর্মদিবসেই ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৬০ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকমাস ধরে ডিএসইক্স ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়াতে পারছিল না। তবে এবার ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের আস্থাও যেন বেড়েছে। তাই সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
ডিএসইর তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৩ আগস্ট ডিএসইর সূচক ছিল ৫ হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে। যা গতকাল ৬ হাজার ১১৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অর্থাৎ এ সময়ে দশ কর্মদিবসে ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৬০ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইর লেনদেন আটশ কোটি টাকা থেকে এগারোশত কোটি টাকায় উঠে এসেছে। একই সময়ে ডিএসই-৩০ সূচক ২ হাজার ১০২ পয়েন্ট থেকে ২ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
বর্তমানে ডিএসইর সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। ফলে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থায় শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সাবধানী হতে হবে। যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কোম্পানির আয়ের তুলনায় কম রয়েছে এবং কোম্পানির ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় সেসব কোম্পানির শেয়ার কিনতে হবে। আর এ সময়ে দুর্বল মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের আশঙ্কা অনেক বেশি।
সম্পদ ব্যবস্থাপকরা বলছেন, বর্তমানে বাজারের সূচক বেড়ে গেলেও বাজার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে এমন নয়। বরং এখনও বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করার অবস্থা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে এটা ঠিক যে, কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।