স্বাগতিক পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ১০ বছর পর পাকিস্তানে আয়োজিত হয়েছে টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্টে ২৬৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজটা ১-০ তে জিতেছে স্বাগতিকরা।
করাচি টেস্টের ভাগ্য চতুর্থ দিন শেষেই ঠিক হয়েছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। যা পঞ্চম দিনে মাত্র ১৪ মিনিট ও ১৬ বল লাগলো। শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো পাকিস্তান। আর এতেই প্রায় ১০ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট আয়োজন করে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-০তে জিতে নিল স্বাগতিকরা। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
করাচিতে দ্বিতীয় এই টেস্টে স্বাগতিকদের শুরুটা খুব একটা আহামরি ছিল না। ১৯১ রানে অলআউট করে ৮০ রানের লিডে লঙ্কানরা পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই পাকিস্তানই প্রত্যাবর্তন করেছে দারুণভাবে। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৫৫৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। টেস্ট ক্রিকেটে কোনও দলের প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির এটা ছিল দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত।
এমন অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেই তারা ৪৭৬ রানের অসম্ভব লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। সফরকারীরা সেই রান পাহাড়েই চাপা পড়েছে এই টেস্টে। আগের দিন ২১২ রান তুলতেই হারায় ৭ উইকেট।
জয়ের সুবাস পেতে থাকা পাকিস্তান শেষ দিনে সকালে লঙ্কানদের শেষ ৩ উইকেট নিয়েছে মাত্র ১৬টি বলে। ঐতিহাসিক টেস্টটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখলেন পেসার নাসিম শাহ। টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শিকার করেছেন ৫টি উইকেট।
সর্বোচ্চ ৩২১ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন আবিদ আলী। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০০৯ সালে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন শ্রীলঙ্কান টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ১০ বছর দেশের মাটিতে কোনো সাদা পোশাকের সিরিজ আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান।