ডিএমপি নিউজ: চার চাকার গাড়ি কেনার সামর্থ্য যাদের নাই মোটরসাইকেল তাদের জন্য শুধু একটি দ্বিচক্রযানই নয়, একটি প্রয়োজনীয়তা, বাস্তবতা ও একটি স্বপ্ন। মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেলে স্বপ্নটা শুধু ভেঙে যায় না, বাস্তবতা হয়ে পড়ে কঠিন। এই চোর চক্রকে গ্রেফতারে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে সপ্তাহে ২/৩টি মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মো: জাকারিয়া হোসেন হৃদয়। এ চক্রের অন্যান্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার হবিগঞ্জের লোকরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১০ মে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মে মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। সেই সূত্র ধরে বুধবার হবিগঞ্জের লোকরা বাজারের ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ হৃদয় নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এ চক্রটি কয়েকটি ধাপে মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। এ চক্রের একজন সদস্য স্পটে থাকে। সে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে। অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সাথে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙ্গে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে চোরাই মোটরসাইকেলটি কয়েকটি হাত বদল হয়। এভাবে হবিগঞ্জের লাখাই রোডের বন্ধু মটরস গ্যারেজ পর্যন্ত পৌঁছায়। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি পরিবর্তন, চ্যাসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চ করে আবার বিক্রি করে দেয়।
গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে মোটরসাইকেল চুরি করে ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজের মালিকের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য।
মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুল বা মার্কেটে গেলে যেখানে-সেখানে না রেখে নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করা, আর চুরি হলে সাথে সাথে থানায় মামলা করার অনুরোধ করেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ফটো ক্রেডিট: মোঃ আবেদ মিয়া, ডিএমপি-মিডিয়া।