কানাডার বৃহত্তম শহর টরন্টো। প্রতিবছর এখানকার জনসংখ্যা গড়ে এক লাখ করে বাড়ছে। কিন্তু শহরটির চরিত্রগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। টিকে আছে শত বছরের অনেক ঐতিহ্য। বহু ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে পাশাপাশি বাস করছে। সবচে মজার বিষয় হলো, এই শহরে ১৪০টি ভাষার প্রচলন আছে। বড় কোনো সমস্যা ছাড়াই এই বিশাল জনগোষ্ঠী পরস্পরের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলাফেরা করছে।
টরন্টোর চায়নাটাউনে গেলে চোখে পড়বে কেবলই চীনা ভাষার প্রাধান্য। রাস্তাঘাট কিংবা বিলবোর্ডগুলো ইংরেজি নয়, চীনা ভাষায় ঠাসা। যেন আরেকটি মিনি বেইজিং। একইভাবে ফরাসি, জাপানি কিংবা অন্যান্য ভাষার লোকজন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে কেবল ওইসব ভাষার চর্চা হয়।
এখানে আছে মিনি ইন্ডিয়া, লিটল ইতালি, পর্তুগাল ভিলেজ, গ্রিক টাউন ইত্যাদি। এসব স্থানে গেলে ওই ভাষাভাষীর লোকজন মনে করবে তারা যেন নিজেদের দেশেই আছে। পাবলিক প্লেস, পার্ক, বিনোদন স্থান, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি স্থানে গেলে দেখা যাবে মানুষ হরেক রকম ভাষায় কথা বলে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্যান্য দেশে এমনটি দেখা যায় না।
টরন্টো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন যান লাখো মানুষ। শহরটি ঝকঝকে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সুন্দর। খাবার-দাবারের বৈচিত্র্যেও অন্ত নেই। নিজেদের দেশের পছন্দের খাবারও মিলে যাবে একটু এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করলেই।
আর সৌন্দর্যপিপাসুদের নিকট সব সময়কার আগ্রহের বিষয় নায়াগ্রা জলপ্রপাত টরন্টোর ১২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা যেহেতু খুবই উন্নত তাই এই দূরত্ব সেই হিসেবে খুব কম। শহরটি নতুন প্রজন্মের কাছেও খুব আকর্ষণীয়, কারণ তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকেও এটি অনেক এগিয়ে।