অবশেষে ১৪২ বছরের রীতি ভাঙতে চলেছে৷ আসন্ন অ্যাসেজ সিরিজেই বড়সড় পরিবর্তন দেখা যাবে টেস্টের আবহে৷ টেস্ট ক্রিকেটে এই প্রথমবার ক্রিকেটারদের জার্সির পিছনে লেখা থাকবে তাঁদের নাম ও জার্সি নম্বর৷
ওয়ান ডে ও টি-২০’তে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জার্সি ব্যবহৃত হয় আগে থেকেই৷ সেখানে ক্রিকেটাররা নিজেদের নাম এমনকি ডাক নামও ব্যবহার করে জার্সির পিছনে৷ সঙ্গে থাকে তাঁদের পছন্দের নম্বর৷ তা সে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের জন্ম তারিখ হতে পারে, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের স্মারক সংখ্যা হতে পারে, অথবা কোনও বিশেষ দিনের স্মরণিকাও হতে পারে৷
ফুটবলে জার্সি নম্বরটাই অনেক সময় তারকাদের পরিচিতি হয়ে থাকে৷ নম্বর মিলিয়ে রোনাল্ডোকে সিআর সেভেন, মেসিকে এলএম টেন প্রভৃতি নামে ডাকা হয়ে থাকে৷ ক্রিকেটে জার্সি নম্বর অতটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তির জার্সি নম্বর সংরক্ষণ করতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বোর্ডকে৷
টেস্টে ক্যাপ নম্বর ব্যবহার করার রীতি প্রচলিত থাকলেও ঐতিহ্যের কথা ভেবে জার্সিতে ব্যক্তিগত পছন্দের কোনও জায়গা ছিল না৷ নাম ও নম্বর না থাকায় সব ক্রিকেটারদের জার্সিই ছিল সমান৷ অ্যাসেজে রীতি ভাঙতে চলায় এবার থেকে টেস্টও ক্রিকেটারদের জার্সির পিছনে দেখা যাবে নাম ও জার্সি নম্বর৷ আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাসেজ সিরিজে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া, দু’দলের ক্রিকেটাররাই জার্সির পিছনে নাম ও নম্বর ব্যবহার করবেন৷
ইসিবি’র তরফে অফিসিয়াল টুইটার পেজে টেস্ট অধিনায়ক জো রুটের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে৷ যেখানে জার্সির পিছনে রুট নাম ও ৬৬ নম্বর লেখা রয়েছে৷ পোস্ট করা ছবিটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘টেস্ট শার্টের পিছনে নাম ও নম্বর৷’
ইসিবি’র এই টুইটটির মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সনাতনপন্থী ক্রিকেট প্রেমীরা টেস্ট জার্সিতে এই বদলের পরিপন্থী৷ তবে নতুন প্রজন্ম এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে কুণ্ঠা বোধ করছে না৷ মাঝামাঝি এক শ্রেণীর ক্রিকেটপ্রেমীও রয়েছেন, যাঁরা জার্সিতে ক্রিকেটারদের নাম মেনে নিলেও নম্বর দেখতে চান না৷