এবার হাজারেরও বেশি অজানা গ্রহের সন্ধান দেবে নাসা। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল নাসা লঞ্চ করেছিল গ্রহ সন্ধানকারী ডিভাইস, TESS (Transiting Exoplanet Survey Satellite)। যেটিতে সহয়তা করেছিল SpaceX Falcon 9 রকেট। সম্প্রতি TESS গবেষকরা একটি আনুমানিক ধারণা সামনে আনেন। তারা জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা মিশনে ডিভাইসটির (TESS) মাধ্যমে দশ হাজারের বেশি গ্রহের খোঁজ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
খবরটি সামনে আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বেশ কৌতুহলী হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। আর এরই মধ্যে দুটি বড় গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে আরেক সৌরজগতে এই দুটি বড় গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই আবিষ্কার যুগান্তকারী। তবে আবিষ্কার হওয়া এই গ্রহগুলিকে নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে চান মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কারণ আগামিদিনে আরও দিগন্ত খুলে যেতে পারে এই আবিষ্কারের ফলে।
আবিষ্কার হওয়া দুটি গ্রহকে পরীক্ষা করে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আয়তনে প্রায় এগুলি বৃহস্পতি’র সমান। শুধু তাই নয়, ওই দুই গ্রহ নিয়ে গবেষণায় প্রাণের অস্তিত্বও মিলতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে এউ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশের সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিলে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ দুটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালান। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অস্ট্রেলীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্টিফেন কেন জানিয়েছেন, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের ভূমিকা রয়েছে।
নতুন ওই গ্রহের ক্ষেত্রেও এমন কোনও বিষয় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হয়ত সেখানেই প্রাণের অস্তিত্ব থাকার মতো পরিবেশ রয়েছে অথবা অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এই ব্যাপারে আরও বিস্তর গবেষণা ও তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্টিফেন কেন আরও বলেন, সৌরজগতের বাইরে অনেক গ্রহ-নক্ষত্রে জলের উপাদান থাকার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তবে সেখানে প্রাণীর বসবাসযোগ্য পরিবেশ আছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। নতুন এই দুই গ্রহ সে ক্ষেত্রে গবেষকদের জন্য নতুন আশার সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।