পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো আড়াই কিলোমিটারেরও বেশি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ‘৪ডি’ নম্বর স্প্যানটি ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে ভাসমান জাহাজ পাজা করে ধরে রওনা হয় সকাল ঠিক ১০ টায়। ৩৭ মিনিটেই প্রায় এক কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে এটি পৌছে যায় গন্তব্যে অর্থ্যাৎ ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির সামনে।
এটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু ২৫৫০ মিটার অর্থ্যাৎ আড়াই কিলোমিটারেরও বেশী দৃশ্যমান হলো। ১৬তম স্প্যান বাসানোর মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে এই স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর আগে ১৬তম স্প্যানটি গত ১৯ নভেম্বর ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটিতে বসেছিল। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, এখন এভাবেই ঘন ঘন স্প্যান বসবে।
কয়েক মাস আগেই ‘৪ডি’ নম্বর স্প্যানটি স্থাপনের উপযোগী করে খুঁটির কিছুটা দূরে পদ্মা তীরে স্টোর করে রাখা ছিল। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের প্যানটিকে বহন করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ।
৪ বা ৫ ডিসেম্বর ১৮তম স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। ১৮তম স্প্যানটি বসবে ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেই ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটিতেও স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ৩৩-৩২ ও ৩১-৩২ নম্বর খুঁটিতেও স্প্যান বসবে অল্প সময়ের মধ্যে। খুঁটি এবং স্প্যান তৈরি হয়ে যাওয়ায় দ্রুত সময়ের ব্যবধানে স্প্যান উঠতে থাকবে। এদিকে চীন থেকে আরও দু’টি স্প্যান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সমুদ্র পথে ১৯ নভেম্বর বিকালে স্প্যান দু’টি মোংলা পোর্টে এসে পৌছায়। কাস্টমসের কাজ চলছে এখন। শিঘ্রই এই স্প্যান দুটিও মাওয়ায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। অনেক ষড়যন্ত্র পেরিয়ে পদ্মা সেতু এখন নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত গতিতে কর্মযজ্ঞ চলছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।-বাসস