আগামী ১৯ জানুয়ারি একযোগে সারাদেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১৯। এ বছর প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শিশুদের কল্যাণে আমরা সবাই’। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অর্থায়ন করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অন্যান্যবারের মতো এবারও দেশের ৪৯০টি উপজেলায় এই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে।
প্রাথমিক প্রতিযোগিতা শুরু হবে স্কুল পর্যায়ে। এরপর উপজেলা পর্যায়ে। পরে জেলা পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে দেশে আটটি বিভাগে এবং সর্বশেষ ঢাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক শিশু সাহিত্যিক আনজির লিটন এ সব তথ্য জানান।
তিনি জানান, এবার মোট ৩০টি বিষয়ে প্রতিযোগীরা অংশ নেবে। গান, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্গন, আদিবাসীদের কয়েকটি ইভেন্ট, নাটক, উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, ক্রীড়ায় কয়েকটি ইভেন্টসহ মোট ত্রিশটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি উপজেলা/থানা পর্যায়ে, ২৩ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এবং ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ঢাকায় হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৮ জন শিশু-কিশোর অংশ নিয়েছিল। এ বছর প্রতিযোগীর সংখ্যা আরও বাড়ছে। এতো বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর দেশের আরও কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি। সরকার শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতি, খেলাধূলা, সংগীত,শিল্প, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্যই এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল। যে উদ্দেশে এই প্রতিযোগিতা চালু হয়েছিল তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে তিনি জানান। এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ২৩৭টি পুরস্কার প্রদান করা হবে।