৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ থেকে ৮ নভেম্বর । এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সিপিসি’র ভাইস প্যাট্রন শেখ হাসিনা আগামী ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
সিপিএ চেয়ারপার্সন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি দেশের ১৮০টি জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ ছয় শতাধিক প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।”
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হল- ‘কনটিনিউনিং টু এনহ্যান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ড অব পারফরমেন্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস’। সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।
এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সিপিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খান বলেন, “এত প্রতিনিধি আসবেন। কেউ কথা তুললে আমরাতো চুপ করিয়ে দিতে পারি না।”
পরে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, “সিপিএ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু আগে থেকেই নির্ধারিত হয়। সিপিএ’র নির্বাহী কমিটি এই আলোচ্য সূচি ঠিক করে। যখন এটি ঠিক করা হয়েছিল, তখন রোহিঙ্গা ইস্যু সামনে আসেনি। তবে সিপিএ’র একটি টপিক আছে, ‘হোয়াট ফ্যাক্টর ফুয়েল দ্যা রাইজ অব ডিফরেন্ট কাইন্ডস অব ন্যাশনালিজম’। এই টপিকের সময় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা উঠতে পারে।”
সম্মেলনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিরীন শারমিন বলেন, “আইপিইউ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। সিপিএ সম্মেলনের জন্য যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে প্রতিনিধিরা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা পাবেন।
সোমবার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করেছি। সেখানে নিরাপত্তা বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তারা সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংসদের প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।