নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন,সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আগের চেয়ে নৌপথ এখনও সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। আগের তুলনায় নৌদুর্ঘটনা কমে এসেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশেষ করে নৌযান মালিক, শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদফতর, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের কার্যকরী পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালে কোন যাত্রীবাহী নৌযান ডুবেনি।
রবিবার ঢাকায় শিশু একাডেমী মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মন্ত্রী বলেন, নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কেউ যাতে লঞ্চে ভ্রমণ না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে আরো সচেতন হতে তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আগে লঞ্চ তৈরি করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিত। এতে করে নৌযানে অনেক ত্রুটি থেকে যেত। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়, এখন নৌযান তৈরির জন্য প্রথমেই নৌ অধিদপ্তর থেকে নকশা অনুমোদন করে নিতে হয়।
শাজাহান খান বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৯০ ভাগ কাজ শেষ করতে পেরেছি। বাকী কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার আছে মাত্র ৪ জন, আর নৌযান রয়েছে ১০ হাজারের অধিক। যা দিয়ে ঠিকমত নৌযান সার্ভে করা সম্ভব নয়।