চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইএসসিএপি)।
কৃষিখাতে কাঙ্খিত উপার্জন, শ্রমিক-কর্মিদের উপার্জন এবং কয়েক বছর যাবৎ মুদ্রাস্ফীতির নিম্নহার- এর উপর ভিত্তি করে এ কথা বলা হয়।
‘ইকোনমিক এ্যান্ড সোস্যাল সার্ভে অব এশিয়া এ্যান্ড প্যাসিফিক ২০১৭’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারি ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)- এর মহাপরিচালক ড. খান আহমেদ সাইদ মুর্শিদ এবং ইউএনএসকাপের অর্থনীতি বিষয়ক কর্মকর্তা সুদীপ রঞ্জন বসু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
সুদীপ রঞ্জন বসু পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোগ্যপণ্যের জন্য ব্যয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এবং সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) ও তৈরি পোশাক রপ্তানি দেশকে বর্তমান পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করবে।
প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত এবং জ্বালানী ঘাটতির সমস্যা উত্তোরণে কর-আদায় ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার কথা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতির লক্ষ্যে সাম্প্রতিক নীতিমালা, যেমন- ওয়ান স্টপ সার্ভিস, বানিজ্য খাতকে শক্তিশালী এবং কর- সংগ্রহ বৃদ্ধি করবে।