তরুণ প্রজন্মের জন্য দেশের বিভিন্ন পার্ক/ হাটবাজার ইত্যাদি স্থানে এক হাজার ওয়াই-ফাই জোন স্থাপন করা হবে। দেশব্যাপী সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সেবা ও টেকসই নেটওয়ার্ক গড়ার লক্ষ্যে পয়েন্ট অব ইন্টারকানেক্ট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আর ২০২১ সালের মধ্যে শুধুমাত্র আইসিটি সেক্টরে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা বর্তমান সরকারের একটি অঙ্গীকার। প্রান্তিক পর্যায়ের জনসাধারণের জীবন সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীতে আইসিটির ভূমিকাও ব্যাপক। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বনির্ভর ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নানাবিধ প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাগভনেট ও ইনফোসরকার প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়নের ফলে দেশের সব সরকারি অফিসের মধ্যে কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার কানেক্টিভিটি সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। বাকিগুলোও সচল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনে আইসিটি ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে দক্ষতা, জবাবদিহীতা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সম্পদের অপচয় কমানো, পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করা ও সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি হচ্ছে। এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন মাত্র ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল। ঢাকার বাইরে কোন ইন্টারনেট কানেকশন ছিল না।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের গর্ব ও অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত আজ ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি গড়ে উঠেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, ২০২১ সালের মধ্যে শুধুমাত্র আইসিটি সেক্টরেই ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, লানিং এ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রায় হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৪৪ প্রশিক্ষণার্থী আউট-সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৪ লাখ ১৯ হাজার ইউএস মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে মোবাইল গেইম ও এ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করে দেশীয় ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে