২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল নিরলসভাবে কাজ করছে।সরকার তামাকের ব্যবহার হ্রাসের প্রচেষ্টাকে পরিপূর্ণ করতে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধন করেছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে দেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন কার্যকর করার জন্য ২০১৫ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের উপর জোর দেয়া হয়েছে যাতে, তামাকজাত দ্রব্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এড়াতে সমগ্র পাবলিক প্লেসকে মুক্ত করা যায়।২০০৯ সালে গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো পরিচালিত সার্ভে অনুসারে দেখা যায়, বাংলাদেশে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাকের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত, কারণ এতে জটিলরোগ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও হাঁপানি হতে পারে।ডব্লিউএইচও-এর মতে, তামাক খাত থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা আয় করে, কিন্তু দেশটিতে জটিল রোগের জন্য চিকিৎসার খরচ হিসাবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশে তামাক সংক্রান্ত আটটি রোগে প্রতিবছর কমপক্ষে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায়। বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।