২০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশী মুদ্রার জালনোটসহ একজন পাইকারী বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম। গ্রেফতারকৃত ওই পাইকারী বিক্রেতার নাম মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মোল্লা (৪৮)। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নিকট হতে ৪টি সিরিজের ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
২০ আগস্ট, ২০১৮ খ্রিঃ ১৬.৩০ টায় রাজধানীর রমনা থানার ৮০কাকরাইল রোড রুপায়ন করিম টাওয়ারের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে এই বিপুল পরিমান জালটাকাসহ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, গত ১৭ আগস্ট ২০১৮ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাল নোট প্রস্তুতের অন্যতম হোতা ও কারখানার মালিক কাউছার হামিদকে গ্রেফতার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ও তার দেয়া তথ্য মতে এই হাবিব মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হাবিব মোল্লা আর্থিক সংকটপূর্ন লোকদের দিয়ে নিউমার্কেটসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে থাকে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল্-আয্হার কুরবানীর হাট উপলক্ষে এই চক্র বাজারে আনুমানিক ১ (এক) কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক জাল নোট সংক্রান্তে মামলা আছে। গ্রেফতারকৃত তার প্রতিনিধি সংগ্রহ করে তাদের দিয়ে তৈরি কৃত জাল টাকা বাজারে ছেড়ে থাকে। হাবিব জানায়, জাল টাকা উৎপাদনের মূল কারিগর কাওছার হামিদের নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা তৈরি করা জাল টাকা ১০ হাজার টাকায় কিনে থাকে পরবর্তী সময়ে ১৪-১৫ হাজার টাকায় সে পাইকারী-খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে। পাইকারী বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকায়, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকার মূল্য হয়ে যায় আসল এক লক্ষ টাকার সমান। মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিধিগন বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বা দ্রবাদি ক্রয় এর মাধ্যমে এই জালনোট বাজারে বিস্তার করে থাকে।
এ সংক্রান্তে রমনা মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।