ডিএমপি নিউজ রিপোর্ট: হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের দেশ বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অন্যতম সম্পদ লোকগাঁথা ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’। মধ্যযুগিয় সাহিত্যের এই অনন্য লোকগাঁথার অন্যতম পালা ‘মহুয়া’। এই পালা অবলম্বনে ‘নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ তাদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নির্মান করেছে নৃত্যনাট্য ‘মহুয়া’। আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এই নৃত্যনাট্যটি মঞ্চস্থ হবে।
শনিবার বিকেলে ‘নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-নৃত্যশিলল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ, দীপা খন্দকার, অভিনেতা রহমত আলী, সাদিয়া ইসলাম মৌ, নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন, কন্ঠশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার-সহ নৃত্যনাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহুয়া একটি স্বপ্ন প্রকল্প। বৃহৎ পরিসরে শিল্পকলা ও সাহিত্য সমঝদারদের কাছে উপস্থাপনের জন্য অত্যন্ত নিপুনতার সঙ্গে এর কারিগরি দিকসমূহের উৎকর্ষ সাধন করা হয়েছে। এই নৃত্যনাট্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র রুপায়ন করেছেন দেশের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী এতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আর সঙ্গীত আয়োজনে রয়েছেন আলী আশরাফ ও কলকাতার গৌতম দাস। কবিরুল ইসলাম রতনের মনোজ্ঞ নৃত্য পরিকল্পনায় মহুয়া নৃত্যনাট্যটি অঙ্কিত। গবেষণাকর্মী এক কাজটির নেপথ্য কারিগরও তিনি।