মিয়ানমার দেশটিতে শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে আড়াইশ’র বেশি বন্দিকে ক্ষমা করেছে। বুধবার দেশটির সরকার ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত দু’জনকে আন্তঃধর্মীয় শান্তি প্রচারণার জন্য সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়, তারা মিয়ানমারের ১৮৬ নাগরিক ও ৭৩ জন বিদেশীকে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মুক্তি দিচ্ছে।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অ্যাক্টিভিস্ট জউ জউ লাট ও পুইন্ট ফিউ লাট রয়েছেন। ২০১৫ সালে শান্তির প্রতীক হিসেবে একটি খ্রিষ্টান ক্রস ও একটি বুদ্ধ মূর্তি দিতে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির সদরদপ্তরে যাওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত বছর একটি মামলায় তাদেরকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। খবর এএফপি’র।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানায়।
বুধবার সকালে মান্দালয়ে কারাগার থেকে বন্দিরা বেরিয়ে আসার সময় শুভাকাক্সিক্ষরা তাদের অভিবাদন জানায়। বন্দিদের মধ্যে ৪০ জন রাজনৈতিক বন্দি ছাড়াও ভূমি অধিকার, শিক্ষা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের অ্যাক্টিভিস্ট ও কৃষকরা ছিল।
২০১১ সালে জান্তা থেকে রূপান্তরিত দৃশ্যত বেসামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমার কয়েক হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। -বাসস