২৫ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসান চরে স্থানান্তরের মত ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। এছাড়াও অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করে দেওয়ায় নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান ত্রাণমন্ত্রী।
ভাসন চরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ‘অস্থায়ীভাবে’ রাখা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। ওই দেশের নাগরিক হিসেবে সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরে যাবে, এটাই আমরা চাই।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কাছে মেঘনার মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসান চরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এজন্য গতবছরের শেষ দিকে একনেকে ২৩১২ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। এর আওতায় মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছ গ্রামে ১৪৪০টি ব্যারাক হাউজ ও ১২০টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নের এ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।