ডিএমপি নিউজ: ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য জনগণের কাছে তুলে ধরতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
শনিবার (২৫ মার্চ ২০২৩ খ্রি.) রাতে ডিএমপির ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ের সামনে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যা ২৬শে মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য প্রদর্শন করা হবে।
ডিএমপির ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাহেদ আল মাসুদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
শিরায় শিরায় ধমনীতে ধমনীতে: শিহরণ তুলে মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের সেই ভয়াল ২৫শে মার্চের কালরাতের কথা। অপারেশন সার্চলাইট, ২৫শে মার্চ ১৯৭১ পৃথিবীর বুকে নৃশংসতম এক গণহত্যার নাম। বাঙালি যখন তার অধিকারকে আঁকড়ে ধরেছিল, বর্বর পাকিস্তানিরা তখনই বুঝতে পেরেছিল কোনো কিছু দিয়েই এই জাতিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তাই একাত্তরের সেই রাতে শুরু করে জঘন্যতম গণহত্যা। যা জন্ম দেয় মুক্তিযুদ্ধের। শুরু হয় স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ সংগ্রামই জনগণের কাছে তুলে ধরতে ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের এ বিশেষ আয়োজন।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, রক্তমাখা সূর্যোদয়, গভীর আত্মত্যাগ হয়তো এদেশের মানুষ কখনো দেখেনি, কিন্তু এ এক নতুন অধ্যায়, নতুন সূর্য, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সূর্য। হাজার বছরের শৃঙ্খলমুক্তির জন্য রক্তস্নাত এক সূর্য উদিত হলো সেদিন বাংলার আকাশে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি তারবার্তা পাঠান। ওয়্যারলেস বার্তায় প্রচার করা হয় সেই স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপর তা কপি করে বিলি করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার মূল ইংরেজি ঘোষণা:
“THIS MAY BE MY LAST MESSAGE, FROM TODAY BANGLADESH IS INDEPENDENT. I CALL UPON THE PEOPLE OF BANGLADESH WHEREVER YOU MIGHT BE AND WITH WHATEVER YOU HAVE, TO RESIST THE ARMY OF OCCUPATION TO THE LAST. YOUR FIGHT MUST GO ON UNTIL THE LAST SOLDIER OF THE PAKISTAN OCCUPATION ARMY IS EXPELLED FROM THE SOIL OF BANGLADESH AND FINAL VICTORY IS ACHIEVED. “
জনসেবায়:
ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।