শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট (ডাস)। এখানে হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্প প্রদর্শনী। শিল্পকলা একাডেমিতে এই সামিট চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সামদানি আর্ট ফাউণ্ডেশনের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া ঢাকা আর্ট সামিটে সহযোগিতা করছে গোল্ডেন হারভেষ্ট গ্রুপ। নাদিয়া সামদানি ও রাজিব সামদানির যৌথ উদ্যোগ এবং চেয়ারম্যান হিসেবে ফারুক সোবহানের নেতৃত্বে ঢাকা আর্ট সামিট একটি আন্তর্জাতিক, অবাণিজ্যিক, দক্ষিণ এশীয় আর্ট এবং আর্কিটেকচার সম্বন্ধীয় গবেষণাধর্মী এবং প্রদর্শনীধর্মী প্ল্যাটর্ফম।
সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ ঢাকা আর্ট সামিটের আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরো রয়েছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
দক্ষিণ এশীয় শিল্পের নতুন এক দিগন্তকে উন্মোচন করতে ডায়ানা ক্যাম্পবেল বেটানকোর্টের উদ্যোগে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কিউরেটরগনকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। সামিটে ২০১৮ সংস্করণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততাকে তুলে ধরা হবে নতুনভাবে। জাতীয় উন্নয়নকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করার জন্যে রয়েছে শ্রীলংকার অজানা শিল্পকলার ইতিহাস। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার প্রদর্শনীর ইতিহাসের ওপর আলোকপাত করা হবে। সামিটে প্রথমবারের মত সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে ইরান ও তুরস্ক।
এসব প্রর্দশনীতে অংশ নেবেন ৩৫টি দশেরে ৩০০ এর বেশি শিল্পী। দক্ষিণ এশিয়ার কিছুটা অজানা এবং একই সাথে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় শিল্পকলার উন্নয়নকে সামনে রেখে সামিটে ১২০ জনেরও বেশি বক্তার অংশগ্রহণে থাকবে মোট ১৬টি প্যানেল আলোচনা এবং ২টি সিম্পোসিয়াম অনুষ্ঠিত হবে। সামিটটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের জন্য সামদানি আর্ট অ্যাওয়ার্ড এবং সামদানি সেমিনার প্রোগ্রামের আয়োজন থাকবে। স্থানীয় শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষ্যেই সামিটে বিচিত্র সব আয়োজন। চার দিনব্যাপি এই সামিটের ২০১৬ সংস্করণ ১ লাখ ৩৮ হাজার স্থানীয় ও ৮০০ আন্তর্জাতিক দর্শককে আকৃষ্ট করে।
সামিটে আরও থাকছে সামদানি আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ডেও প্রথম বিজয়ী মাকসুদুল করিমের ডিজাইনকৃত সর্বপ্রথম এডুকেশন প্যাভিলিয়ন। আর্ট এবং আর্কিটেকচারকে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আরও থাকছে আন্তঃ বিষয়ক ওয়ার্কশপ। অংশগ্রহণে থাকছে র্যাকস মিডিয়া কালেকটিভ, সুপারফ্লেক্স, দায়ানিতা সিং এবং আর্ট এডুকেশনের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ। এছাড়াও যৌথ সম্পৃক্ততায় রয়েছে স্ট্যাডেলশুল, ওপেন স্কুল ইস্ট, টিবিএ ২১ একাডেমী, মারসে কানিংহ্যাম ট্রাস্ট, এফএইছএন ডবলু একাডেমী অফ আর্ট এন্ড ডিজাইন এবং হার্ভার্ড প্রমুখ।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাথে পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে সামিটের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন স্কুল ও ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ৫৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আর্ট সামিটের সঙ্গে থাকবে পার্টনারশিপে।
দেশের সমসাময়িক আর্টিস্ট এবং আর্কিটেক্টের কাজের সহযোগিতার লক্ষ্যে ২০১১ সালে কালেক্টর দম্পতি নাদিয়া ও রাজিব সামদানি প্রতিষ্ঠা করেন সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন (এস এ এফ), যা ঢাকা, বাংলাদেশভিত্তিক একটি প্রাইভেট আর্টস ট্রাস্ট। আর্টিস্ট ডিরেক্টর এবং কিউরেটর, ডায়ানা ক্যাম্পবেল বেটানকোর্টের নেতৃত্বে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বাংলাদেশের সমসাময়িক শিল্পকলার সাথে দর্শকদের গভীর সংযোগ স্থাপন এবং দেশের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা।