আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩২তম জাতীয় কবিতা উৎসব। বরাবরের মতো এবারো উৎসবের আঙিনা নির্ধারণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের হাকিম চত্বর। এবারের উৎসবে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন ৯টি দেশের ১৭ জন কবি। স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩০০ জন কবি অংশ নেবেন এই উৎসবে।
উৎসব উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী। এরপর উৎসব আঙিনা হাকিম চত্বরের উৎসব মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হবে জাতীয় সংগীত। সেই সঙ্গে উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা। গাওয়া হবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান ও উৎসব সংগীত।
এবারের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ।
বিদেশি কবিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডেনের আরনে জনসন, ক্রিস্টিয়ান কার্লসন ও ভিভেকা জোরেন, যুক্তরাজ্যের এগনেস মেডাওস, ক্যামেরুনের জয়সে আওসাতাতাং, মিশরের ইব্রাহীম এলমাসরি, মেক্সিকোর ইউরি জামব্রানো, জাপানের টেন্ডু তেইজিন, তাইওয়ানের মিয়াও–ওয়াইতুম এবং কলম্বিয়ার মারিও মাথর।
এ ছাড়া অংশ নেবেন ভারতের বিভিন্ন ভাষার কবিরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন কবি আশিস সান্যাল, সুবোধ সরকার, রাতুল দেববর্মণ, দিলীপ দাশ, সংঘ মিত্রা চক্রবর্তী, প্রদীপ কর, অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র।
স্বদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ৩০০ কবি এবারের উৎসবে কবিতাপাঠ করবেন। কবিতা পাঠ ছাড়াও কবিতা নিয়ে বিভিন্ন পর্বে আলোচনায় অংশ নেবেন তারা।
বাংলা ভাষার সাহিত্যচর্চার অনন্য আয়োজন এই কবিতা উৎসব। এ উৎসব শুধু কবিদের জন্য নয়। কবি ও তার জনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত এ উৎসব। মানুষের কথা বলাই এ উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, বহুমাত্রিক লেখক, কবি, সাংবাদিক সাযযাদ কাদির গত বছরের ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের ষাটের দশকের অন্যতম কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত।