মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা তিন হাজার ২০০ রোহিঙ্গা পরিবারকে ৯ দিনব্যাপী জরুরি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার কক্সবাজারে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)`র যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে এক মাসের জন্য ছয় ধরনের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে- ৫০ কেজি চাল, চার কেজি ডাল, চার লিটার সয়াবিন তেল, চার কেজি চিনি, দুই কেজি লবণ এবং দুই কেজি সুজি। প্রথম দিনে প্রায় ৪০৭টি পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আইসিআরসি।
সোমবার সকালে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নিলা ইউনিয়নের লেদা স্কুল এবং দিনের একই সময়ে দরগা সি অ্যান্ড বি মাঠে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সবচেয়ে দুর্গত মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসি এই মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৯ হাজার রাখাইন মুসলমানের মধ্যে এই মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হবে।
প্রথম দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন তুষার আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টেকনাফ, সেলিম আহমেদ সমন্বয়কারী, এমআরআরও, বিডিআরসিএস, বরিস কেলেচেভিচ ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন, আইসিআরসি আব্দুস সালোহ, রাসুলোভ ফিল্ড ডেলিগেট আইসিআরসি এবং অন্য ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, স্থানীয় জনপ্রশাসন, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা সার্বিক অংশগ্রহণে প্রাথমিক মাঠভিত্তিক চাহিদা যাচাই, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চিহ্নিতকরণ এবং সে অনুযায়ী পুনরায় মাঠভিত্তিক যাচাই-বাছাই শেষে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাখাইন থেকে আগত মুসলমানদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পুরণে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসি যৌথভাবে উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে। এছাড়াও অধিকসংখ্যক রাখাইন মুসলমানের হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে।
এছাড়া ডিসেম্বর ২০১৬ সাল থেকে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে আসা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখাইন মুসলমানদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন (আরএফএল) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।