একই দিনে নাকি ২–৩ বারও সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি। তবু কোনও সমস্যাই নেই! মাত্র ১৮ বছরের জীবনে ইতিমধ্যেই নাকি ৩৪ বার সাপ কামড়েছে তাঁকে। তবু দিব্যি রয়েছেন মণীষা বর্মা। হেসে–খেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সুস্থও রয়েছেন।
মণীষা ভারতের হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। বাড়ির আশেপাশে রয়েছে নদী, জঙ্গল। খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রচুর সাপও রয়েছে সেখানে। মণীষার দাবি, গত তিন বছরে তাঁকে সাপে কেটেছে মোট ৩৪ বার। মণীষার বাবা সুমের বর্মা জানালেন, তাঁর মেয়ের কাছে এই ব্যাপারটা অভ্যাসের মতো হয়ে গিয়েছে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে এখন মণীষা ‘সর্পকন্যা’ হিসাবে খ্যাত হয়ে গিয়েছেন। বেশির ভাগই মনে করেন মণীষার উপর দেবতাদের আশীর্বাদ রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে আসল কারণটা কী?
কিছুদিন আগেই সাপের কামড় নিয়ে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মণীষা। সেখানকার সুপার ওয়াই এস পারমার জানাচ্ছেন, যে সাপটি মণীষাকে কামড়েছিল সেটি ছিল বিষহীন। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এখন মণীষা অনেকটাই সুস্থ।
ওই হাসপাতালেরই আরও এক চিকিৎসক কেকে প্রসার বলেন, ‘‘আমাদের চারপাশের ৮০ শতাংশ সাপই বিষহীন। সম্ভবত মণীষাকে যে সাপগুলি কামড়েছে তার সবক’টিই ছিল বিষহীন। ফলে সাময়িক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত মণীষার অবস্থা কখনওই তেমন আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছয়নি।
স্থানীয় বন আধিকারিক বীরেন্দ্র জানান, ‘‘শিল্লাই আর সিরমৌর এলাকায় রাসেল স্নেকের মতো বিষাক্ত কিছু সাপ আছে। তবে মণীষাকে ঠিক কোন সাপ কামড়েছে তা জানা সম্ভব নয়। সম্ভবত বিষহীন সাপই কামড়েছিল মণীষাকে।’’
বন দফতরের পশু চিকিৎসক রোহিত অবশ্য বললেন, ‘‘সম্ভবত বারংবার সর্পদংশনের ফলে ওই মেয়েটির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সাপের কামড় তাঁর শরীরে আর কোনও প্রভাব ফেলে না।’’