৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষনা করেছে প্রোটিয়া দলপতি ফাফ দু প্লেসিস। দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে যাওয়ার পর আর ব্যাটে নামেননি ফাফ দু প্লেসিস। ফলে বাংলাদেশ তাদের ১ম ইনিংস শুরু করেছে। ব্যাট হাতে তামিম ওপেনিংয়ে নামেননি। ইমরুলের সঙ্গী হিসেবে মাঠে নেমেছেন লিটন দাস।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় টস হেরে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত একটুও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশি বোলারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ডিন এলগার। অবশ্য আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ৩০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। মাত্র ১ রানের জন্য প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি এলগার। এইডেন মারক্রাম ও হাশিম আমলার সঙ্গে তার শক্ত জুটিতে বিশাল সংগ্রহের ভিতই দাঁড় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিন এলগারের সঙ্গে মারক্রামের ১৯৬ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিষেক টেস্টে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন মারক্রাম, রান আউট হন তিনি। তারই মতো দ্বিতীয় দিন আক্ষেপে পুড়েছেন এলগারও। মোস্তাফিজুর রহমানের বাউন্সে দুর্বল পুল শটে মিড উইকেটে তিনি মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়েন। তখন রাজ্যের আফসোসই হয়তো চেপে বসেছিল এলগারের মনে। ১৯৯ রানে আউট হন তিনি ৩৮৮ বল খেলে। তার মতো এমন আক্ষেপে এর আগে পুড়েছেন ৯ জন- মুদাচ্ছের নজর, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, ম্যাথু এলিয়ট, সনাৎ জয়াসুরিয়া, স্টিভ ওয়াহ, এন্ডি ফ্লাওয়ার, ইউনিস খান, ইয়ান বেল, কুমার সাঙ্গাকারা, স্টিভ স্মিথ ও লোকেশ রাহুল।
এর আগে এলগারের সঙ্গে শক্ত জুটি গড়তে দুইশতাধিক রান যোগ করেন আমলা। ৬৮ রানে শুক্রবার মাঠে নামেন তিনি। প্রথম সেশনের পুরোটা সময় এলগারের সঙ্গে দাপট দেখান এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি। দেশের সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় গ্রায়েম স্মিথকে আমলা স্পর্শ করেন ১৪৩ বল খেলে। এখন কেবল তার সামনে জ্যাক ক্যালিস (৪৫)।
তবে দ্বিতীয় সেশনে এসে শফিউল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ হন আমলা। তার ১৩৭ রানের ইনিংস ছিল ২০০ বলের, ১৭ চার ও ১ ছয়ে সাজানো। দ্বিতীয় দিন প্রথম উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে এলগারের সঙ্গে ২১৫ রানের জুটি গড়েন আমলা।
এর আগেই ১২৮ রানে দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে এলগার ক্যারিয়ার সেরা রান করেন। গত মার্চে ডুনেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪০ রান করেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটাকে ছাড়িয়ে গেলেন, কিন্তু হলো না প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।