বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এ পর্যন্ত ২০৮ টিরও বেশি ফসলের ৫১২টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে।এছাড়াও রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৮২ টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এযাবৎ ৯০০ টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
আজ শনিবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএআরআই) কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে ‘কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০১৭’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। সারাদেশ থেকে আগত কৃষি বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেছে বিএআরআই। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে গম, তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।এ সময়ে কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষির পাশাপাশি শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। এ কারণেই বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি হলো কৃষি। আবার এ কথাও সত্যি যে আমরা শুধু কৃষির উপর নির্ভরশীল নই। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সমগ্র দেশের উন্নয়ন। আমাদের কৃষি এখন শুধু খোরপোষের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের কৃষি এখন লাভজনক কৃষির দিকে পা বাড়াবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএআরআই’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ভাগ্যরানী পাল, বিএআরআই এর পরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী ও ড. পরিতোষ কুমার মালাকার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআই’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. লুৎফর রহমান।
আবুল কালাম আযাদ বলেন, ২০৩০সালের মধ্যে ৭০টি ভ্যারাইটি উদ্ভাবনের টার্গেট নিয়ে কাজ করছে বিএআরআই’র বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে ২৮টি ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশে মে হতে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ফল পাওয়া যায়। এখানকার বিজ্ঞানীরা মার্চ হতে অক্টোবর পর্যন্ত ফলের উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।