মিরপুর টেস্টের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করে ৫২২ রানের ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি আর মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরির জন্যই হয়তো অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ডাবল সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি দুটিই হলো।
বাংলাদেশ স্কোর : ৫২২/৭ (১৬০ ওভার) (মুশফিক ২১৯*, মেহেদী ৬৮*)।
অপরাজিতই থেকে গেলেন মুশফিক। তিনি তখন ব্যাট করছিলেন ২১৯ রানে। মিরাজ ব্যাট করছিলেন ৬৮ রান নিয়ে।
প্রথম সেশনে মাত্র ৬২ রান। দ্বিতীয় সেশনে তার পুরোপুরি উল্টো। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ রান তুললো ১০৫। ঝড়ো গতিতে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম আর মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়িয়েছিল ৭ উইকেটে ৪৭০। সারা দিনে বাংলাদেশের মাত্র দুটি উইকেট ফেলতে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে বোলাররা।
আশা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয়তো বা সেই অবস্থার উত্তরণ ঘটবে। কিন্তু সিলেট টেস্টেও সেই ভরাডুবি। ফলশ্রুতিতে বিশাল হার। ঢাকা টেস্টে এসেই অবশেষে হতাশার ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারলো বাংলাদেশ। জোড়া সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ানোই নয় শুধু, বিশাল স্কোরেরও হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের সামনে। মুশফিকুর রহীম আর মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনই ৩০০ প্লাস রান। বাংলাদেশের অবস্থা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল খুব ভালো। উইকেট ৫টি চলে গেলেও ক্রিজে ছিলেন সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহীম এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সে কারণেই আশায় বুক বাধা যে, বাংলাদেশ এই টেস্টে ভালো কিছু করবে।
সাকিব–তামিমকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক
২০১৫ সালে তামিম ইকবাল করেন ২০৬। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব করেন রেকর্ড গড়া ২১৭। এবার মুশফিক নিজের করে নিলেন এই দুটি রেকর্ড। ইনিংস ঘোষণার সময় অপরাজিত ছিলেন ২১৯ রানে।
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৩০৩/৫ (৯০ ওভারে) (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ১১১*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ০*; জার্ভিস ৩/৪৮, চাতারা ১/২৮, তিরিপানো ১/৩৩, রাজা ০/৬৩, উইলিয়ামস ০/৩১, মাভুতা ০/৭৯, মাসাকাদজা ০/৭)।
বাংলাদেশের দেওয়া ৫২২ রানের জবাবে এখন ব্যাটিং করছে জিম্বাবুয়ে।