মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একাই ৭০-৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৮ লক্ষ মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে বিগত ৯ বছরে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮০০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন-লক্ষ্যমাত্রা ৪০.৫০ লাখ মেট্রিক টনের চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। তেমনি মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২.৭৭ লাখ মেট্রিক টন হবে বলে আশা করছি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলেই মৎস্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ইলিশ মাছের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষভাবে দেশের প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ মৎস্য খাতে জড়িত এবং ১১ শতাংশের অধিক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ। ফলে মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। খবর রাইজিং বিডি।
‘২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮,৩০৫.৬৮ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে ৪২৮৭.৬৪ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২৪৩.৪১ কোটি টাকা- উল্লেখ করেন নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
এ খাতে সরকারি সহায়তার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাটকা সমৃদ্ধ ১৭ জেলার ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত রাখতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩জন জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসের জন্য মোট ৩৮,১৮৭.৬৮ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২,৪৮,৬৭৪টি জেলে পরিবারের প্রতি পরিবারকে মোট ৩৯,৭৮৮.০০ টন চাল প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৮ সাল পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন পরিবার প্রতি মাসিক ১০ কেজি হারে খাদ্য দেওয়া হলেও বর্তমানে ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা প্রদান হচ্ছে। ২০০৭-০৮ সালে ১,৪৫,৩৩৫টি জেলে পরিবার এ কর্মসূচির অর্ন্তভুক্ত থাকলেও বর্তমানে পরিবার সংখ্যা ২,৪৮,৬৭৪টিতে উন্নীত হয়েছে।