একটি টিস্যু পেপার দাম কত হবে? ব্যবহার ও দেশ ভেদে এক এক রকম দামের হয়ে থাকে টিস্যু পেপার। টিস্যু পেপার ব্যবহারের পর এর কোন মূল্য থাকে না। তবে সেই ব্যবহৃত টিস্যু হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে! ফক্স নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, লস এঞ্জেলের একটি সংস্থা প্রতিটি ব্যবহৃত টিস্যুর বাক্স প্রায় ৫৭০০ টাকায় বিক্রি করেছে। অনলাইনে গত কয়েকমাসে নাকি হটকেকের মত বিক্রি হয়েছে এগুলো।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা শীত জুড়ে আমেরিকার একাধিক শহরে সর্দি–কাশি, ফ্লুয়ের প্রকোপ বাড়ে। সেসময় এই ব্যবহৃত টিস্যু ব্যবহার করলে নাকি শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং সর্দি–কাশি এবং ফ্লুয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে। একজনের শরীর থেকে আসা জীবাণু ফ্লুয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গেলে ঠিক মত প্রভাব বিস্তার করতে পারে না উল্টো একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধি পায়। যদিও এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণ ওই সংস্থার।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক চার্লস গেব্রা অবশ্য জানিয়েছেন, যে বিশ্বাস নিয়ে মানুষ এই ব্যবহৃত টিস্যুগুলো কিনছেন। সেটা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ এভাবে ভাইরাস কাজ করে না। প্রায় ২০০ রকমের ভাইরাস সর্দি-কাশি, ফ্লুয়ের সময় মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। এই সময় ২০০টি টিস্যু ব্যবহার করলে তাতে ২০০ রকমের ভাইরাসই পাওয়া যাবে।
কাজেই ব্যবহৃত টিস্যু ব্যবহার করলেই যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সেকারণেই সর্দি–কাশির কোনও প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। খবর বাংলাদেশ জার্নাল।