ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর লালবাগ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭৫ লক্ষ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হল- কাউসার হামিদ, আলাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোঃ মোস্তফা, মোঃ সোহেল, মোঃ মজিবর রহমান @ বাদশা, মোঃ সজিব হোসেন ও মোছাঃ সালেহা বেগম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে প্রায় ৭৫ লক্ষ বাংলাদেশী জাল টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জাম- ১ টি ল্যাপটপ, ০২ টি কালার প্রিন্টার, টাকা তৈরীর বিভিন্ন কাগজ, প্রিন্টার কালি, স্কীন বোর্ড, জাল টাকায় ব্যবহৃত ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট,২০১৮ তারিখ ১৯.১০ টায় রাজধানীর লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ১৮ আগস্ট’১৮ দুপুর ২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত বলেন ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন পিপিএম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জাল টাকার তৈরীর মূলহোতা গ্রেফতারকৃত আসামী কাউসার হামিদ তার অন্যতম সহযোগী আলাউদ্দিনসহ লালবাগের ৪ নং এমসি রায় লেনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরীসহ ব্যবসা করে আসছিল। আসামী সজিব ও মোছাঃ সালেহা জাল টাকা তৈরীর কাগজে জল ছাপ নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করে। আসামী কাউসার হামিদ তার বড়ভাই এর সাথে জাল টাকা তৈরী করত। পরবর্তীতে ২০০৪ সাল হতে নিজেই জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জামাদী ক্রয় করে ব্যবসা করত। ইতিপূর্বে সে একাধীকবার জাল টাকা ও তৈরীর সরঞ্জামাদীসহ গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায় যে, বড় কোন উৎসব যেমন ঈদ/ দূর্গা পূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে আসামীরা ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রয় করে। উৎপাদকের এক লক্ষ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১০,০০০/- টাকা, পরবর্তীত সময়ে সে পাইকারী বিক্রেতার নিকট ১ লক্ষ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। পাইকারী বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা সমমূল্যে অর্থাৎ আসল এক লক্ষ টাকায় বিক্রয় করে। মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য/দ্রবাদি ক্রয়ের মাধ্যমে এই জালনোট বাজারে বিস্তার করে থাকে।